মা হতে যাচ্ছেন পিয়া
মডেল, অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া মা হতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) রাতে ফেসবুকে বেবি বাম্পসহ ছবি দিয়ে নিজের প্রথমবারের মতো মা হতে যাওয়ার খবর দিলেন এই খ্যাতিমান মডেল।
আর সেই ছবির ক্যাপশনে পিয়া লিখেছেন, ফেব্রুয়ারিতে পরিবারের মূল্যবান সদস্যের আগমনের অপেক্ষা করছি।
২০১৪ সালে ফারুক হাসান সামীরের সঙ্গে ঘর বাঁধেন পিয়া। ২০০৭ সালে সুন্দরী মিস বাংলাদেশ হিসেবে আলো ঝলমলে জগতে আবির্ভূত হন তিনি।
এরপর মডেলিং দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। নাটক, সিনেমা ও বিজ্ঞাপনসহ ওয়েব কনটেন্টেও তাকে কাজ করতে দেখা গেছে।
এম
মন্তব্য করুন
রামপুরা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে মনি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রামপুরার বিটিভি ভবনের পেছনের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রামপুরা থানার এস আই খান আবদুর রহমান বলেন, ‘মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতরের দিক থেকে আটকানো ছিল। কদিন তার বাসা থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায়নি প্রতিবেশীরা। এক সময় গন্ধ পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।’
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর ‘কী ছিলে আমার’, ‘আমি মরে গেলে’, ‘ফুল ঝরে তারা ঝরে’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ও ‘আমি ঘরের খোঁজে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তবে মাঝে দীর্ঘদিন তিনি নতুন গান প্রকাশ থেকে দূরে ছিলেন।
আরটিভি/এমকে
জীবন আমাকে এমন পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছে আমি নিরুপায়: তনি
সোশ্যাল ইনফ্লুয়েনসার ও দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রুবিয়াত ফাতিমা তনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠোঁটকাটা স্বভাবের নারী হিসেবে বেশ পরিচিতি আছে তার। ফেসবুকে তিনি অধিকাংশ সময় সরব থাকেন পোশাকের ব্যবসা নিয়ে। কিন্তু কিছুদিন ধরে সময়টা খারাপ যাচ্ছে এই উদ্যোক্তার। তা চক্ষুগোচর হয় তার সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট দেখে।
তনির ফেসবুক পাতায় দেখা মেলে শুধু হাহাকার। জানান, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন তিনি। কারণ, কয়েক দিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন তার স্বামী। যার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বামীকে নিয়ে দেশের বাইরে আছে তিনি। তবে কী অসুখে ভুগছেন, তা কোথাও উল্লেখ করেননি তিনি।
এদিকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে নিজের ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তনি। যেখানে তিনি লিখের, জীবনে কোনোদিন ভাবিনি আমি টাকার বিনিময়ে অন্য কোম্পানি বা ব্রান্ডের প্রমোশন করব, এ পর্যন্ত যতগুলো প্রোমোশন আমি করে দিয়েছি সম্পূর্ণ ফ্রি, কেউ কোনোদিন বলতে পারবে না আমি একটি টাকাও কোনোদিন কারও থেকে নিয়েছি। টাকার লোভ আমার কখনোই ছিল না, এখনও নেই। আমি একজন উদ্যোক্তা, সবসময় নিজের কোম্পানির কাজ করেছি। সময় সুযোগমতো পারলে নতুন বা ছোট উদ্যোক্তাদের ফ্রিতে প্রোমোশন করেছি। যখন থেকে আমি পপুলার অনেক বড় বড় ব্রান্ড আমাকে লাইভ বা প্রোমোশনের জন্য বড় অংকের টাকা অফার করেছে, আমি সবসময় ফিরিয়ে দিয়েছি। আল্লার রহমতে আমার যে পরিমাণ ভিউ, চাইলে নিজের বিজনেসের বাইরে প্রোমোশন করে মাসে এক্সট্রা অনেক টাকা ইনকাম করতে পারতাম। টাকা আমাকে কখনো টানেনি, নিজের ব্যবসা থেকে যা আসে আমি সবসময় সন্তুষ্ট, আলহামদুলিল্লাহ। আমি বা আমার হাসব্যান্ডও কখনো চায়নি আমি নিজের ব্রান্ডের বাইরে অন্য কোথাও কাজ করি। কষ্ট করে সৎপথে নিজে যতটুকুই ইনকাম করেছি, তা ইনভেস্ট করে নিজের প্রতিষ্ঠান বড় করার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও লিখেন, আপনারা জানেন গত রোজার ঈদের পর থেকে আমার ওপর দিয়ে কী কী যাচ্ছে। ভোক্তা অধিকারের সাথে ঝামেলা, আন্দোলন, আমার বগুড়া শোরুম লুটপাট, বন্যা, দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা- সবমিলিয়ে বিজনেসর অবস্থা বেহাল। আজ জীবন আমাকে এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছে, আমি নিরুপায়। নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি ব্যাংককে ব্যয়বহুল ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যাওয়ার। এটা ঠিক কতদিন লাগবে একমাত্র আল্লাহতা’য়ালা জানেন। আমার অবর্তমানে আমার স্টাফরা দিনরাত চেষ্টা করচে প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে, তারপরও হিমসিম খেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় আমি ঠিক করেছি আমি জীবনের প্রথম শুধুমাত্র তিনটি কোম্পানির সঙ্গে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি বদ্ধ হব, তবে সেগুলো ডিফরেন্ট পণ্যের হবে।
জানি অনেকে জাজমেন্টাল হয়ে অনেক কথা বলবেন উল্লেখ করে তনি লিখেন, অনেকে গুজবও ছড়াবেন, তবে আপনাদের কথায় আমার কিছু করার নেই। হসপিটালের বড় অঙ্কের বিল আমাকেই পরিশোধ করতে হবে। আর একটা কথা, আমি কিন্তু কারও কাছে হাত পাতছি না বা সাহায্য চাচ্ছি না। আমি নিজের যোগ্যতায় পরিশ্রম করে কাজের বিনিময়ে টাকা নেব। আর আমি যেহেতু একজন উদ্যোক্তা, আমি জানি আমি কীভাবে প্রোমোশন করতে হয়, যে প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করব ইনশাল্লাহ তাকে লাভবান করিয়েই হালাল করে টাকা নেব, আল্লাহ ভরসা। প্লিজ দয়া করে উল্টোপাল্টা নিউজ করবেন না এমন যে টাকার জন্য চিকিৎসা হচ্ছে না সানভীস বাই তনির হাসব্যান্ডের।
আমি আত্মবিশ্বাসী, আমি পারব ইনশাল্লাহ, বাকিটা আল্লাহ জানেন। আর হ্যাঁ, অনেক হয়তো হিংসায় নিজের মনের জ্বলুনিতে বলবেন জামাই অসুস্থ এই সুযোগে টাকা কামানোর নতুন ধান্দা করছে তনি, যা খুশি বলেন, আমার কিছু আসবে যাবে না। আমি শুধু জানি এই পরিস্থিতি আমার একা সামাল দিতে হবে। আল্লাহ ভরসা।
প্রসঙ্গত, তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। এসবের জবাবও দিয়েছেন তিনি।
শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তনি।
আরটিভি/এএ-টি
ভাই-বোনেরা চান শেষকৃত্য, মেয়ে চান দাফন
নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর। প্রায় পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বিটিভিতে গেয়েছিলেন ‘কী ছিলে আমার’। যা আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। আর শিল্পীকে এনে দিয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরার নিজবাসা থেকে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এরপর মনি কিশোরের বড় ভাই অশোক কুমার মণ্ডল জানান, শিল্পীর মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। কারণ, শিল্পী মনি কিশোর বেঁচে থাকতেই তার মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে বাবার মরদেহ দাফনের কথাই নাকি বলে গিয়েছিলেন।
সংগীতজীবনের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে সেই বিয়ে টেকেনি। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানান বড় ভাই অশোক কুমার।
মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের পর রামপুরা থানার উপপরিদর্শক খান আবদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আপাতত শিল্পীর মরদেহ মর্গে থাকবে। শিল্পীর মেয়ে দেশে ফিরলেই তার সিদ্ধান্তে যা হওয়ার হবে। অথবা দূতাবাসের মাধ্যমে কোনো চিঠি পাঠিয়ে যদি কাউকে দায়িত্ব দেন, তখনই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তাছাড়া তিনি যে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, এ রকম প্রমাণাদি আমাদের সরবরাহ করতে পারলেও হয়। মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তি চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের ওসি (তদন্ত) শাহাদাত হোসেনের কথা হয়েছে।
ওসি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিন্তি চৌধুরী আমাদের কাছে একটা তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন। আমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছি, ওখানকার দূতাবাস অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যেন পাঠান। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তার বাবাকে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করতে। অন্যদিকে পরিবার, ভাই–বোনেরা চেয়েছিলেন হিন্দুধর্মমতে মরদেহের আনুষ্ঠানিকতা সারতে। দুই পক্ষ থেকে দুই ধরনের বক্তব্যের কারণে একটা বিতর্ক ও জটিলতা তৈরি হতে পারে। এই বিতর্ক ও জটিলতার অবসানে আমরা শিল্পী মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে উপস্থিত মরদেহ গ্রহণ না হলে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করেছি। এরপরই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
প্রসঙ্গত, ৩০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে মনি কিশোরের, যার প্রায় সবগুলোই ছিলো হিট। রেডিও ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা ও লেখা।
আরটিভি/এএ
প্রেমে মজেছেন রেদওয়ান রনি-সাদিয়া আয়মান
শোবিজে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন রয়েছে প্রেম করছেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি ও অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। বেশ রাখঢাক করেই সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গুঞ্জন যতই ডালপালা মেলুক না কেন, মুখ খুলবেন না এই জুটি। তবে এবার যেন সেই লুকোচুরি প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর দিলেন দুজনেই। যদিও এখনও শুধু ইশারাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তাদের এই খুনসুটি।
গত ২০ অক্টোবর ছিল রনির জন্মদিন। আর এদিনই নির্মাতার সঙ্গে সাদিয়ার প্রেমের খবর অনেকটাই স্পষ্ট হলো। জন্মদিন উদযাপনের জন্য এক ছাদের নিচে হাজির হয়েছিলেন শোবিজ তারকারা।
যেখানে ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মেহজাবীন চৌধুরী, আদনান আল রাজীব, আশফাক নিপুন, এলিটা করিমসহ অনেকেই। তবে সবার মাঝে একটু বিশেষভাবেই নজর কেড়েছেন সাদিয়া। যাকে পরোক্ষভাবেই ‘প্রিয়তমা’বলেই সম্বোধন করলেন রনি।
ইতোমধ্যে জন্মদিন উদযাপনের বেশ কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন রনি। ক্যাপশনে নির্মাতা লিখেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজ এবং ফোনকলে জন্মদিনের ভালোবাসা শুভেচ্ছা পেয়ে অভিভূত হয়েছি। প্রতিটি ইচ্ছা, সুন্দর শব্দ আর আন্তরিক ভালোবাসা আমার দিনটি বিশেষ করে তুলেছে।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নির্মাতা লেখেন, আমি সত্যি দুঃখিত, প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে উত্তর দিতে পারিনি। একইসাথে কৃতজ্ঞ, আমার চারপাশে এমন চমৎকার মানুষ থাকার জন্য।
এসবের মাঝে নিজের ‘প্রিয়তমা’-কে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি রনি। তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো সারপ্রাইজ পার্টির পরিকল্পনা করার জন্য আমার প্রিয়তমাকে বিশেষ ধন্যবাদ! আমি খুব খুশি এবং প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ, আমাকে এত ভালোবাসা এবং প্রশংসা করার জন্য।
রনির সেই পোস্টে ভক্তরাও মন্তব্য কররেও একটি কমেন্টস বিশেষভাবে নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। নির্মাতার উদ্দেশে সাদিয়া লিখেছেন, ‘আমার জীবনে যা পেয়েছি, তার মাঝে তুমি সবচেয়ে সেরা।’
এতে ভক্তদেরও বুঝতে আর বাকি রইলো না যে, প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন সাদিয়া-রনি। অনেকদিনের সেই গুঞ্জনই সত্যি। বলা যায়, নির্মাতা-অভিনেত্রীর মাঝের সমীকরণ বুঝতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি নেটিজেনদের।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সাদিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য দিতেই নারাজ তিনি। বরং প্রেমের বিষয়টি পুরোপুরি এড়িয়ে গেছেন।
আরটিভি/এইচএসকে/এআর
বিমান দুর্ঘটনায় কাজলের মৃত্যুর খবর শুনে যা হয়েছিল মা তনুজার
নব্বই দশক থেকে বড় পর্দায় কাজ করছেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। তার সাবলীল অভিনয় এখনও মুগ্ধ করে সিনেমাপ্রেমীদের। তবে যখন প্রচারে ছিলেন না সে সময় একই রকম উৎসাহ ছিল অভিনেত্রীকে ঘিরে। জনপ্রিয়তায় কখনই ভাঁটা পড়েনি তার।
এদিকে খ্যাতির যে বিড়ম্বনাও আছে সেটাও হাড়ে হাড়ে বোঝেন কাজল। একবার অভিনেত্রীর মায়ের কাছে ভুয়া ফোনকল আসে। বিমান দুর্ঘটনায় নাকি মৃত্যু হয়েছে কাজলের! মেয়ের মৃত্যুর এমন খবর শুনে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রীর মা তনুজা মুখার্জি।
সম্প্রতি কপিল শর্মার শো-তে হাজির হয়েছিলেন কাজল। সেখানেই মৃত্যুর এই গুজব নিয়ে কথা বলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে একাধিকবার নিজের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে একবার বিষয়টা হাতের বাইরে চলে যায়।
কাজল বলেন, প্রায় ১০ বছর আগের কথা, একবার মায়ের কাছে ফোন আসে বিমান দুর্ঘটনায় নাকি মারা গেছি। ওই সময় নেটদুনিয়া সচল ছিল না। তাই আমি ফোন করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল মাকে। খবরটি শুনে তখন খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল মায়ের।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে স্বামী অজয় দেবগন, মেয়ে নাইসা ও ছেলে যুগকে নিয়ে সুখেই দিন পার করছেন কাজল। সন্তান হওয়ার পর কাজ থেকে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আবারও পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন কাজল।
টিকটক তারকার ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, অতঃপর...
পাকিস্তানের জনপ্রিয় টিকটক তারকা মিনাহিল মালিক। সম্প্রতি অনলাইনে তার একটি ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস হয়েছে; যা অল্প সময়ের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে ব্যাপক ট্রলিং ও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন এ টিকটক তারকা।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তানের প্রতিবেদনের খবর, টিকটকার মিনাহিল মালিকের ব্যক্তিগত ভিডিওগুলো তিনি নিজেই ফাঁস করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
এ টিকটক তারকা ফাঁস হওয়া ভিডিও সম্পর্কে জানিয়েছেন, অনলাইনে ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলো ভুয়া। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় নেটিজেনরা বলছেন, এই পাকিস্তানি টিকটকার নিজেই ভিডিওগুলো ফাঁস করেছেন। ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটের মাধ্যমে কিছু সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে ভিডিওগুলো শেয়ার করেছিলেন মিনাহিল মালিক।
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানি অভিনেত্রী মিশি খান এবং দেশটির বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা মুফতি আবদুল কাফি প্রকাশ্যে টিকটকারদের ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন। বিশেষ করে সস্তা প্রচারের জন্য অনুপযুক্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিয়ে সমালোচনা করেন তারা।
আবদুল কাভি জানিয়েছিলেন, টিকটকার মিনাহিল ও ভাইরাল ছেলেটিকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন তিনি। ভিডিওগুলো সম্পাদিত নয় (এডিটিং নয়) এবং এ ব্যাপারে মুখোমুখি কথা বলার জন্য টিকটকারকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন।
আরটিভি/এএ
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট-৫’ নিয়ে সুখবর দিলেন অমি
কাজল আরেফিন অমি নির্মিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলরয় পয়েন্ট’। ২০১৭ সালে শুরু হওয়ার পর সিরিজটি ব্যাপক সাড়া পায় দর্শকমহলে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মুক্তিপ্রাপ্ত চারটি সিজনই দাগ কেটেছে দর্শকদের মনে। বিশেষ করে এর চরিত্রগুলো।
২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর ১১৬তম পর্ব প্রচারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র সিজন-৪। এবার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট-৫’ নিয়ে সুখবর দিলেন অমি।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দেশের একটি গণমাধ্যমে সিরিজটি নিয়ে কথা বলেন নির্মাতা। তিনি বলেন, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিরিজটি দিয়ে দর্শকদের এত ভালোবাসা পেয়েছি। যা বলে বোঝাতে পারব না। গত দুই বছরে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট-৫’ কবে আসবে? এমন বহু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে আমাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ফাইভ অবশ্যই আসবে। দর্শকরা যেহেতু চাচ্ছেন, তাদের কথা ভেবেই এটা নির্মাণ করবো। তবে ঠিক কবে নাগাদ সিজনটি আসবে, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা, প্রতিটি ভালো কাজের জন্যই যথেষ্ট সময় প্রয়োজন।
অমি বলেন, আপাতত সিরিজটি নির্মাণ জন্য পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এখনও কাজ শুরু করিনি। সবকিছু চূড়ান্ত হলে তখন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অভিনয় করেছেন, মারজুক রাসেল, চাষী আলম, জিয়াউল হক পলাশ, শরাফ আহমেদ জীবন, সাবিলা নূর, সুমন পাটোয়ারী, শিমুল, সানজানা সরকার, ফারিয়া শাহরিন, আবদুল্লাহ রানা, পাভেল, মনিরা মিঠু, পারসা ইভানাসহ আরও অনেকে।
আরটিভি/এইচএসকে-টি